বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা পাওয়াদের উচ্ছ্বাসের কমতি নেই।
রাহী, সাইফুদ্দিনদের রোমাঞ্চটা যেন একটু বেশীই। বিশ্বসেরাদের মঞ্চে নিজেদের প্রথম অংশগ্রহণটা স্মরণীয় করে রাখতে চান তবে এর উল্টো চিত্রও আছে। গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের অন্যতম সেরা পারফর্মার তাসকিন এবার জায়গা পান নি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে। তার কান্না অনেককেই মনে করিয়ে দেয় ২০১১ বিশ্বকাপে মাশরাফির বাদ পড়ার ঘটনাকেও।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তাসকিন বলেন, 'ফিট হবো আমি। আমার কাজ করে যাবো। সামনে সুযোগ হলে ভালো কিছু করবো ইনশাল্লাহ।'
এদিকে রাহী বলেন, 'ভালো খেলতে পারলেই খুশি হবো। সেরা একাদশে জায়গা পাওয়ায় এখন মূল লক্ষ্য।'
মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। তাসকিনের অশ্রুসজল চোখের ভাষায় রাহীর হাসির গল্প লেখা। গেল বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা পারফর্মার বাদ পড়লেন ইনজুরির খড়গে, কপাল খুললো কখনোই ওয়ানডে না খেলা আবু জায়েদ রাহীর।
তাসকিন সবার কাছে দোয়া চাইলেন। দোয়া চাইলেন রাহীও। লাল-সবুজের রঙ্গীন জার্সি বয়ে বেড়াবার যে গুরুভার তার দায়িত্বটা পালন করতে চান ঠিকঠাক।
রাহী বলেন, 'ইংল্যন্ডে গিয়েছিলাম ২০০৯ সালে এরপর দশ বছর হয়ে গেছে। এখন সেরাটা দেয়ার অপেক্ষা।'
তাসকিন বলেন, 'সবাই যেটা ভালো মনে করছে সেটাই করছে। সবাই দোয়া করবেন। আমি চেষ্টা করবো ভালো কিছু করার।'
মিঠুন সবসময়ই হাসিমুখে থাকেন। এবার তার হাসিটা আরো চওড়া। স্বপ্ন সারথীদের একজন তিনি। লাল-সবুজের হয়ে মাতাবেন বিশ্ব আসর। স্কোয়াড ঘোষণার পর গণমাধ্যমের সামনে এসে হেসে হেসেই জানালেন, দলের জন্য সর্বস্ব উজাড় করে দিতে চান। মাত্র দশ ওয়ানডে খেলা সাইফুদ্দিনেরও একই মত।
মিঠুন বলেন, আমার জীবনটা কখনোই সহজ ছিল না। আল্লাহর রহমতে বেশ কয়েকটি সিরিজ ভালো হয়েছে। এখন সামনের টা দেখার পালা।
সাইফুদ্দিন বলেন, ইনশাল্লাহ আমি মুখিয়ে আছি দুই বিভাগে ভালো করার জন্যে। সুযোগ পেলে অবশ্যই নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করবো।
আয়ারল্যান্ড সিরিজের তালিকায় থাকা নাঈম হাসানকে খুঁজে নিতে হলো হোটেলে। এখনো সুযোগ আছে বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয়ার। তাই আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজটা চান কাজে লাগাতে। নাঈম হাসান বলেন, 'আয়ারল্যান্ডে সুযোগ পেলে ১০০ শতাংশ দেয়ার চেষ্টা করবো।'
হাসি-কান্না মিলেমিশে একাকার যে স্কোয়াডে, বিশ্বকাপ শেষে সেটি বয়ে আনুক একরাশ প্রশান্তি। এমনটাই প্রত্যাশা সবার।